ভালোবাসার প্রতিদিন ০১/০১/২৫

ভালোবাসার প্রতিদিন

আজকে ২০২৫ সালের প্রথম। দিনটি আমার কাছে খুবই আনন্দদায়ক। আজকে আমার ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে কিছু কথা বলবো। আপনারা যারা রিলেশনশিপে আছেন তারা অবশ্যই আমাদের খুনসুটি গুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তো চলুন আপনাদের ভালোবাসার প্রথম বছরের প্রথম দিন টি সম্পর্কে কিছু গল্প আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি।

ভালোবাসার প্রতিদিন

আজকের দিনটিতে আমি খুবই ব্যস্ত ছিলাম। অর্থাৎ, সারাদিন ধরে তোমার প্রিয় মানুষটার সঙ্গে আমার তেমন কোনো কথা হয় নাই। যদিও থাকে অনেক মিস করেছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সে আমাকে অনেক অনেক বার কল দিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারি নাই। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার সময় আমাদের কথা হয়।

অভিমান ভাঙ্গানোর মুহূর্ত

আমি বুঝতে পারছিলাম সে আমার উপর কিছুটা অভিমান করেছে। কিন্তু আমারও কিছু করার ছিল না। কারণ আমি অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম যে কারণে সময় দিতে পারি নাই। সন্ধ্যার সময় আমাদের কিছু কথা হল। বুঝতে পারছিলাম সে আমার উপর বেশ রাগ করেছে। আমি তার রাগ ভাঙানোর জন্য তার সঙ্গে সুন্দর করে কথা বলতে শুরু করলাম।

তারপর দুই তিনবার আমাদের কল কাটা হয়েছে। পরবর্তীতে তার অভিমান কমেছে। সে সুন্দর করে আমার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। এক সময় আমি একটি কারণে কিছু সময়ের জন্য কলটি কাটি।

সাজুগুজুর সারপ্রাইজ

হঠাৎ করে তার মেসেজ দেখতে পাই। কি গো কোথায় তুমি? তোমার জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে। আমি তো অবাক হয়ে যাই। কি এমন সারপ্রাইজ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিও কল দিলাম। দেখলাম আমার জানটা আমার সামনে আসতেছে না। তখনই বুঝতে পারলাম হয়তো সে আমার জন্য সাজুগুজু করেছে।


তাকে বললাম, জান সামনে আসো, কিন্তু তবু সে আসছে না, আবারও বললাম প্লিজ আসো, কোন ভাবেই সামনে আসতে রাজি হচ্ছে না, একটু আদর করে বললাম জান, সোনা, ময়না, আমার লক্ষী বউটা প্লিজ একটু সামনে আসো।

সে সামনে আসলো না তবে তার হাত সামনে নিয়ে আসলো। তার হাত দুটো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। কারণ সে হাতের চুরি পরেছে আমাকে দেখানোর জন্য। যখন সে সারপ্রাইজ এর কথা বলেছিল তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম সে আমার জন্য সেজেছে। হাতের চুড়ি পড়া দেখে ১০০% শিওর হয়ে গেলাম সে আমার জন্য সেজেছে।

সে অনেক লজ্জা পাচ্ছিল। সামনে কোনোভাবে আসতে চাচ্ছিল না। পরে জান, সোনা, কলিজা, ময়না, আমার লক্ষী বউটা ইত্যাদি বলে ডাকছিলাম। তারপরে, সে লাজুক চেহারা নিয়ে সামনে আসলো।

আমি সত্যি, সত্যি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এত এত সুন্দর লাগছিল তাকে। চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সেও আমার অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
থাকা দেখে লজ্জা পেয়ে ক্যামেরার সাইডে সরিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কতটা সুন্দর লাগছিল বোঝাতে পারবো না।

তারপরে সে আমার সঙ্গে গল্প করতে শুরু করল। আমি তার গল্প শুনছিলাম, আর তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। আর মাঝে মাঝে স্ক্রিনশট দিচ্ছিলাম। কারণ তাকে এত ভালো লাগছে এটা আমি আমার কাছে যত্ন করে রেখে দিতে চাই। যে কারণে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছি। তারপরে আমরা অনেক গল্প করলাম।

এক সময় আমার হঠাৎ করে তাকে শাড়ি পরা অবস্থায় দেখতে মন চাইলো। এখন যেহেতু শীতকাল সে কোন মতে রাজি হচ্ছিল না। পরে আমি অনেক রাগ করলাম, তার সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলছিলাম না। পরে সে আমার রাগটি বুঝতে পারল যে কারণে শীতের মধ্যেই সে আমার জন্য শাড়ি বের করে নিয়ে আসলো। তারপরে শাড়ি পড়তে শুরু করল।

আমি তাকে মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। আমাদের এতদিনের রিলেশন তবুও তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, নতুনভাবে আবার প্রেমে পড়লাম। শাড়ি পড়া শেষ হলে আমি তাকে বললাম একটু দাঁড়াও কয়েকটি ছবি তুলে নি। তারপর তার কয়েকটি ছবি তুললাম।

ডান্স ও রোমান্স

শাড়ি পরা অবস্থায় তার সঙ্গে রোমান্টিক কথা বলছিলাম। হঠাৎ করে আমার জান অর্থাৎ আমার ভালোবাসার মানুষটি বলল, জান গান দাও আমি নিত্য করব। আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম আমি বলবো ডান্স করার জন্য। যেহেতু সে আমাকে বলল সুতরাং আমার আর বলা লাগল না। তারপরে আমি গান প্লে করলাম তার পছন্দমত। সে আমার সামনে সেই গানে খুবই সুন্দর করে নিত্য করেছিল।

আমি সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে তার অসাধারণ সুন্দর নিত্য দেখছিলাম। অনেক অনেক সুন্দর লাগছিল। মনে হচ্ছিল যদি সে এখন আমার ঘরে থাকতো। বললাম জান কিছু অপেক্ষা করো, তোমাকে খুব শীঘ্রই আবার লক্ষী বউ করে ঘরে নিয়ে আসবো। তারপরে সে তিনটি গানে পুরো ডান্স করল। আমি একটুও অন্য দিকে মনোযোগ দিয়ে নাই।

কারণ, তখন আমার সব মনোযোগ ছিল তারা ডান্স এর দিকে। তারপরে নিত্য শেষে সে ড্রেস চেঞ্জ করে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। তারপরে বেশ কিছু সময় আমরা একে অপরকে সময় দিলাম। অতঃপর সে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে গেল। সে ঘুমিয়েছে প্রায় সাড়ে দশটার দিকে ই কিন্তু সে এখনো আমার কলে রয়েছে। এখন রাত বারোটা।

ভালোবাসার প্রতিদিন

সে ঘুমিয়ে গেলে আমি তাকে বারবার দেখতে থাকি। অনেক ভালো লাগে। সে ঘুমালে থাকে খুবই মায়াবী লাগে, যে কারণে সে ঘুমানোর পরও আমি কল কাটি না। যতক্ষণ না এমনিতে কেটে যায়। আজও তার ব্যতিক্রম না।

অনেক অনেক ভালোবাসি তোমায় জান। সারা জীবন আমার পাশে থেকো।

Sohan+Nupur

কমেন্ট

Previous Post Next Post